তিব্বে নববী রাসুলুল্লাহ (স:) এর চিকিৎসা বিধান
দীর্ঘ দুই শতাব্দী ধরে চলা তীব্র রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এ সম্পর্কে কমবেশি সকলেই জানা থাকার কথা ক্রুসেড আর হযরত সালাউদ্দিন আইয়ুবী (র:) একে অপরের পরিপূরক। মুসলমানদের দুনিয়া কাঁপানো এই বিজয় আমরা আজোও গর্বভরে স্মরন করি।
নুয়ে পড়া আত্মবিশ্বাসের একটি উম্মাহকে এখনো আশার আলো জাগিয়ে রেখেছে এই মহান বিজয়। ভবিষ্যতে আমরা আবার সেই সোনালী দিন পাব এই প্রত্যাশা আজও আমরা করি।
এই মোবারক জিহাদ আমাদের শেখায় আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল আর শত্রুর বিরুদ্ধে হার না মানার মানসিকতা।
ক্রুসেড যুদ্ধের ইতিহাস (১ম খণ্ড)- বই এর...
ক্রুসেড যুদ্ধের ইতিহাস (১ম খণ্ড)- বই এর বিবরনী
ডঃ রাগিব সারজানির লেখা মানেই ইতিহাসকে নতুন করে চেনা, নতুন করে জানা। তার লেখার ধার এতোটাই বেশি যে পাঠকদের মনে হয় যেন ইতিহাসের এই ঘটনাগুলো ঘটছে তার চোখের সামনেই , পাঠকই যেন সেই ঘটনার জীবন্ত সাক্ষী।
ক্রসেড যুদ্ধ সম্পর্কে আমরা কমবেশি সকলেই জানি, আমরা জানি মুসলিম বিশ্বের বীর সেনানী সালাউদ্দিন আইয়ুবী (রঃ) স্রোতের প্রতিকূলে নির্ভীক সংগ্রামের রক্তাক্ত ইতিহাস।
ক্রসেড যুদ্ধের পরিব্যাপতি প্রায় দুইশত বছরেরও অধিক। এর ব্যাকগ্রাউন্ডটা আরো বেশি জটিল, মারাত্নক এবং কঠিন ষড়যন্ত্রের মায়াজালে আবদ্ধ একটি বিষয়। মুসলমানদের বিরুদ্ধে খ্রীষ্টানদের ক্ষোভের চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটছে এই ঐতিহাসিক ঘটনায় যা প্রায় দু'শো বছরের অধিককাল করে বিভিন্ন সময়ে প্রাণঘাতী যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে ।
মুসলমানরা জয়ী হয়েছিল বটে কিন্তু বহু রক্তের সাগর পাড়ি দিয়ে তারপর। মুসলিমরা চতুর্দিক থেকে যখন বুদ্ধিবৃত্তিক, কূটনৈতিক, সামরিক এবং আন্তর্জাতিক গোয়েন্দাবৃত্তির স্বীকার হচ্ছিল তখন কিছু সংখ্যক অকুতোভয় আল্লাহর সেনানী কিভাবে খিলাফতের ঝান্ডাকে অক্ষত রেখে ছিল এবং একের পর এক প্রাণঘাতী যুদ্ধে কিভাবে ইউরোপের বহুজাতিক বাহিনী কে তাদের পর্যদুস্ত করেছিল ডক্টর রাগিব সারজানি সেই ইতিহাসকে আমাদের চোখের সামনে আবার তুলে ধরেছেন।
মনে রাখতে হবে এটি কোন গল্পের বই নয়, এটি একটি শিক্ষনীয় বিষয়-
ইতিহাসবিদদের সার্থকতা সেখানে, যখন তিনি পূর্বের ঘটনাকে ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা হিসেবে তুলে ধরতে পারেন, আর এখানেই ডঃ রাগিব সারজানি অনন্য।