কিভাবে হবেন একজন আদর্শ শিক্ষক
লেখক : মাওলানা সফিউল্লাহ ফুয়াদ .
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল হাসান
আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা একবিংশ শতাব্দীতে বসবাস করছি, সাড়ে চোদ্দশ বছর আগে কোন একটা সময়ে নয়…।
আমরা সাহায্যের জন্য হাত তুলে শুধু আসমান পানে চেয়ে থাকি তবে কাজের কাজ কিছুই হবেনা। আমাদের করতে হবে হাড়ভাঙ্গা মেহেনত।
লক্ষ্য ঠিক রেখে রাসূলের সুন্নাহ মোতাবেক কাজ করলে তবেই আসবে আসমানী সাহায্য - নচেৎ নয়।
এ বিষয়টি আমাদের সকলের মনে রাখা একান্ত কর্তব্য যদি আমরা আসলেই আল্লাহ সাহায্য প্রার্থী হয়ে থাকি ।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা একেক উম্মতকে একেকভাবে পরীক্ষা করেন।...
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা একেক উম্মতকে একেকভাবে পরীক্ষা করেন। এক এক নবীর উম্মতের জন্য একেক ধরনের বালা মুসিবত তিনি পাঠিয়েছিলেন তাদের ঈমান কেমন দেখার জন্য। বস্তুতঃ আল্লাহর সাহায্য লাভ করার জন্য কিছু শর্ত থাকে ।
প্রত্যেকটা নবীর উম্মতের ক্ষেত্রে বিষয়টি একই রকম- তবে সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ক্ষেত্রে এবং তার উম্মতদের ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু আলাদা। আসমানী সাহায্য লাভের জন্য দুনিয়াবী কিছু মেহেনতের প্রয়োজন আছে এই কথাটি আমরা কেন জানি ভুলতে বসেছি। সমস্ত বিপদ-আপদের আমরা সবকিছু আল্লাহর উপর সোপর্দ করে নিজেরা হাত গুটিয়ে বসে থাকি। এই পর্যন্তই আমাদের প্রচেষ্টা সীমাবদ্ধ। কিন্তু গায়েবী সাহায্য পেতে গেলে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে নিজেদের মন-মস্তিষ্ক চালানোর পাশাপাশি কিছু মেহেনত করতে বলেছেন যা করতে আমরা নিতান্তই অনাগ্রহী। যার কারণে প্রতীক্ষিত সাহায্য আর আসে না।
আমরা কি গাফিলতির ঘুম থেকে আর কখনোই উঠবোনা?