আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত
লেখক : সাইয়েদ সুলাইমান নদবী রহ
প্রকাশনী : নাশাত পাবলিকেশন
যে নামায খুশু-খুযুর সাথে পড়া হয়না তা পুরাতন কাপড় ন্যায় গুটিয়ে ফেরেশতারা বান্দার মুখের উপর ছুঁড়ে মারেন- মানে বুঝতেই পারছেন খুশু খুজু নামাজে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ।
নামাযে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থাকলে আসলে নামাজ ঠিক মত হয় না। যেহেতু নামাজ বেহেস্তের চাবি এবং আল্লাহকে পাওয়ার মাধ্যম- কাজেই নামাজে খুশু তাই রাখতেই হবে ।
চলুন দেখে নেই কিভাবে নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে পৌছানো যায় এবং নামাজকে সুন্দর করা যায় এবং খুশু-খুযুর সাথে আদায় করা যায়।বইটি নিঃসন্দেহে দারুন হাতে লেখা।
খুশুর আভিধানিক অর্থ “একাগ্রতা”। যেকোনো কিছুতে সফল হতে গেল...
খুশুর আভিধানিক অর্থ “একাগ্রতা”। যেকোনো কিছুতে সফল হতে গেলে একাগ্রচিত্তে সে কাজটি অবশ্যই করতে হয়।
তাহলে ধর্ম সংক্রান্ত কাজগুলো করতে একাগ্রতা কেন প্রয়োজন হবে না? অথচ নামাজে দাঁড়ালে সারা দুনিয়ার কথা, হিসাব-নিকাশ ইত্যাদি চিন্তা করা শুরু করে দেই আমরা। যে কোন ধর্মীয় মাসালার মুজলিশে গেলে অথবা ধর্মীয় কোন সিম্পোজিয়ামে গেলে আমরা দুনিয়ার চিন্তা ভাবনা করতে থাকি। এক্ষেত্রে আমাদের নানা রকম সমস্যা উদ্রেক হতে থাকে মনের ভেতরে।
এই করুন অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? মনে রাখতে হবে, যে নামাজে খুশু খুজু রাখে না তাকে ইসলামের সবচেয়ে বড় চোর হিসেবে অভিহিত করেছেন স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা।
অতএব সময় থাকতেই নিজেকে সংশোধন করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বইটি পড়াটি সময়ের দাবী।